,

আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন :: আতঙ্কে গ্রামবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেটে বিভাগের কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিনরাত পার করছেন কয়েক শতাধিক পরিবার। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নের প্রতিদিন ভাঙনের ফলে কয়েক শতাধিক পরিবারের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে কালনী-কুশিয়ারা নদী।
দেখা গেছে, কালনী-কুশিয়ারা নদীর ভাঙন বাড়ছে। উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের ইতিমধ্যে পাকা মসজিদ মাদ্রাসাসহ কয়েক শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে বিপাকে পড়েছেন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষগুলো। ভাঙনকবলিত অনেকেই আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অথবা সরকারি খাস ভূমিতে ও স্থানীয় একটি পরিত্যাক্ত স্কুলে জায়গা করে নিয়েছেন।
বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের সাইফুর রহমান জানান, প্রায় ২৮ বছর ধরে পিরিছপুর গ্রামটি নদী ভাঙনের কবলে রয়েছে। মুসলেম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বসতভিটা প্রথমেই নদীগর্ভে যায়। তারপর একে একে ধলাই মিয়া, ইয়াকুব মিয়া, আবু মিয়া, মতি মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, মনসুর খাঁ, উন্তার খাঁ, সাবুল মিয়া, সাজাহান মিয়া, আজমান মিয়া (সাবেক মেম্বার), আব্দুল হামিম, রহমত আলী, জাকির হোসেন, লাক মিয়াসহ প্রায় দুইশতাধিক বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানেও থেমে নেই ভাঙনের তান্ডব। গত ৬ মাসে আরও ১৪ থেকে ১৫ জনের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে কয়েকটি বসতঘর ঝুঁকিতে আছে। যে কোন সময় বিলীন হওয়ার আশংকায় আতঙ্কের মধ্যে দিন রাত পার করছে।
স্থানীয় আব্দুল হক মিয়ার বসতঘরটি ঝুঁকিতে আছে। যে কোন মুহুর্তে বিলীন হওয়ার আশংকায় আছে। তার ঘরটি রক্ষার জন্য বাঁশের আঁড়া দিয়ে রেখেছেন।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, গত কয়েকদিনে জাদির ইসলাম, আলী আজগর, আব্দুল হালিম ও নাসিমা বেগমের ঘর বিলীন হয়। বর্তমানে তারা অন্যের বাড়িত আশ্রয় নিয়েছেন।
আব্দুল হক মিয়া বলেন, তাঁর বসতঘরটি ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই তিনি ভাঙনরোধে কয়েকটি বাঁশের আড়া দিয়েছেন। তার বসত বাড়িটি নদী গর্ভে বিলীন হলে পরিবারের ২২ জন সদস্য নিয়ে রাস্তায় দিন যাপন করতে হবে। পিরিছপুর গ্রামটিতে ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হবিগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী শামিম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, নদী ভাঙনের কবলে পড়া গ্রামটি শুক্রবার সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলি খুশী মোহন সরকার বলেন, নদী ভাঙন এলাকা আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. একরামুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রকল্প তৈরী করার জন্য। পরবর্তীতে উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে প্রকল্পের বরাদ্দ অনুমোদনের জন্য।


     এই বিভাগের আরো খবর